কোলকাতার নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ালেখা

কোলকাতার নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়ালেখা

সরকারি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (মাকাউট) এর অধীভুক্ত কোলকাতার  নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ এবং বিসিএ কোর্সে পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি) কোলকাতার আগরপাড়ায় অবস্থিত একটি বিশেষায়িত টেকনিক্যাল কলেজ। এটি নাক এবং এনবিএ স্বীকৃত। এই কলেজে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে সর্বোচ্চ ৫০% এবং বিবিএ, বিসিএ কোর্সে সর্বোচ্চ ৪০% স্কলারশিপ রয়েছে। শিক্ষাথীরা এই স্কলারশিপ চার বছরের জন্য পাবে। তাই, কোলকাতায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীগন বিকল্প হিসাবে এই কলেজ বেছে নিতে পারে। 

কোন কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায় 
কলেজটিতে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স পর্যায়ে অনেকগুলো কোর্স থাকলেও বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অল্প কিছু কোর্সে আবেদন করতে পারে। যে বিষয়গুলোতে আবেদন করা যাবে তা দেখে নিন - 

বি টেক (সিএসই) - কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি 

বি টেক (ইসিই) - ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি  

বি টেক (আইটি) - ইনফরমেশন টেকনোলজি
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি 

বি টেক (ইই) - ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি 

বিবিএ 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

বিবিএ ডিজিটাল মার্কেটিং 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

বিসিএ - ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার এপ্লিকেশনস
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

হোস্টেল সুবিধা
বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে হোস্টেল সুবিধা রয়েছে। হোস্টেলে থাকা এবং খাওয়া বাবদ প্রতি বছর আনুমানিক খরচ হবে ৮০ হাজার রুপি। হোস্টেল খরচ প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে। হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামুলক নয়। 

ভর্তির আবেদন কখন করতে হয় 
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত কলেজ বিধায়, এখানে আসন সংখ্যা খুব কম। বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য প্রতিবছর অক্টোবর থেকে জুন মাসের মধ্যে আবেদন করে আসন সংরক্ষণ করতে হয়। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আবেদন করে সিট বুক করে রাখতে হয় এবং মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়তে হলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বৈধ স্টাডি ভিসা নিয়ে যেতে হবে। 

ভর্তির জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগে 
আন্ডারগ্রাজুয়েশনে ভর্তির জন্য এসএসসি (মাধ্যমিক), এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) অথবা এ লেভেল পরীক্ষার মার্কশিট, পাসপোর্ট, জন্ম সনদ বা জাতিয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের একটা রঙিন ছবি লাগে। আবেদন করে সিট বুক করার সময় পাসপোর্ট না থাকলে জাতিয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ দিয়েও আবেদন করে সিট বুক করা যায়। 

ভর্তির আবেদন কিভাবে করতে হয়
বাংলাদেশে নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অনুমোদিত প্রতিনিধি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আবেদনকারিগন এই আটিকেল ভালোভাবে পড়ে এবং বিস্তারিত জেনে, উল্লেখিত সব কাগজপত্র নিয়ে নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রতিনিধি অফিসে সরাসরি্ উপস্থিত হয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয়। 

ভর্তির জন্য যোগাযোগের ঠিকানা 
জিইই বাংলাদেশ 
২৩৮/১ আউটার সার্কুলার রোড, মারুফ মার্কেট, ৪র্থ তলা, মৌচাক মার্কেটের মোড়, মালিবাগ, ঢাকা -১২১৭, বাংলাদেশ।

ফোন কল  
মিজ ফারজানা ববি ঊষা
+88 01326239779

মি.অমিত কুমার 
+88 01721733716

ভিসার জন্য আবেদন 
ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পরে শিক্ষার্থীরা ভিসা আবেদন করার জন্য একটি বোনাফাইড এডমিশন লেটার পাবে। এই লেটার হাতে পাওয়ার পরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। নানাবিধ কারণে এখন বাংলাদেশ থেকে ভারতের স্টাডি ভিসা পেতে অনেক সময় লাগে। তাই অন্তত দুই মাস হাতে রেখে ভিসার জন্য আবেদন করা উত্তম।  

নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টসগুলো দরকার হবে - 

  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের একটি ২-ইঞ্চি X ২-ইঞ্চি রঙিন ছবি (চশমা ছাড়া এবং কান যেন দেখা যায়)
  • ফাইনাল এডমিশন লেটার
  • পাসপোর্টের ফটো কপি + মুল পাসপোর্ট এবং আজ পর্যন্ত যত পাসপোর্ট আছে সবগুলোর মুল কপি
  • জন্ম সনদ / জাতীয় পরিচয়পত্র (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
  • বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে বিদ্যুৎ বিল বা যেকোনো ইউটিলিটি বিল (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
  • ফাইনান্সারের ব্যাংক সার্টিফিকেট (অরজিনাল)
  • ফাইনান্সারের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অরজিনাল)
  • সব একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
  • ভিসা ফি
  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে পিতামাতার কাছ থেকে একটি অনাপত্তি পত্র / নো অবজেকশান লেটার।

 উল্লেখ্য, ভর্তি হওয়ার পরে এবং ক্লাস শুরু হওয়ার কমপক্ষে দুই দিন আগে কলেজে উপস্থিত হয়ে রিপোর্ট করতে হবে। এটা শিক্ষার্থীরা নীজ দায়িত্বে করতে হবে। জেনে রাখা ভালো, স্টাডি ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করার ১৪ দিনের মধ্যে অবশ্যই এফআরআরও রিপোর্ট করতে হবে। এই ব্যাপারে কলেজ থেকে প্রয়োজনীয় গাইড পাবে। 

ডিসক্লেইমার
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত বর্ণিত তথ্য সঠিক। কলেজ কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় যে কোনো তথ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং সংশোধনের অধিকার রাখে। কলেজ কর্তৃক যে কোনো তথ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং সংশোধন শিক্ষার্থীদের মেনে নিতে হবে। এজন্য প্রতিনিধীকে কোনোভাবেই দোষারোপ করা যাবেনা।

প্রকাশের তারিখ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং 
প্রকাশের সময়: ৯:১৫ এ এম