কোলকাতার জেআইএস ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা

কোলকাতার জেআইএস ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা

বিদেশে পড়ালেখার করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থী চিন্তা করে কম খরচে কোন দেশের কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করা যায়। অনেক শিক্ষার্থীর মতে, খরচের ব্যাপারটা প্রাথমিক বিবেচ্য বিষয়। ভারতে পড়ালেখার খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। কম খরচে কোলকাতার জেআইএস ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের।

কোলকাতার জেআইএস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ৪০% থেকে ৫০% স্কলারশিপ দিচ্ছে। এই স্কলারশিপ পেলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কোর্স বিশেষে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি থেকে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি খরচ করে পড়ালেখা শেষ করার সুযোগ পাবে। এছাড়া, হোস্টেলে থাকতে চাইলে বছরে আনুমানিক আরো ৮০ হাজার রুপি খরচ হতে পারে।  

জেআইএস ইউনিভার্সিটি ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানি কোলকাতার আগরপাড়ায় অবস্থিত। এই ইউনিভার্সিটি জেআইএস গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত হয়। উল্লেখ্য, জেআইএস গ্রুপ পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় এডুকেশনাল গ্রুপ যাদের মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল সহ প্রায় ৩৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 

কখন ক্লাশ শুরু হয় 
স্বাভাবিক নিয়মে প্রতি বছর জুলাই / অগাস্ট মাসে ক্লাস শুরু হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে মাত্র একবার ভর্তির সুযোগ থাকে। 

কখন ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয় 
বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য প্রতিবছর অক্টোবর থেকে জুন মাসের মধ্যে আবেদন করে আসন সংরক্ষণ করতে হয়। জেআইএস ইউনিভার্সিটিতে পড়তে হলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বৈধ স্টাডি ভিসা নিয়ে যেতে হবে। 

ভর্তির জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগে 
আন্ডারগ্রাজুয়েশনে ভর্তির জন্য সাধারণত, এসএসসি (মাধ্যমিক), এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) অথবা এ লেভেল পরীক্ষার মার্কশিট, পাসপোর্ট, জন্ম সনদ বা জাতিয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের একটা রঙিন ছবি লাগে।

পোস্টগ্রাজুয়েশন বা মাস্টাস কোর্সে ভর্তির জন্য এসএসসি (মাধ্যমিক), এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) অথবা এ লেভেল পরীক্ষার মার্কশিট, গ্রাজুয়েশন বা স্নাতক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট, পাসপোর্ট, জন্ম সনদ বা জাতিয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের একটা রঙিন ছবি লাগে।

আবেদন করলেই কি ভর্তি হওয়া যায় 
না, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা নিদ্দিষ্ট ফরমেটে আবেদন করার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সব ডকুমেন্ট দেখে। ভর্তির যোগ্যতার সব মানদন্ড পূর্ণ হলে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তির জন্য কেউ বিবেচিত হয়।

কি কি কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায় 
বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত যে কোনো একটি কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে -

বি টেক (সিএসই) - কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি 

বি টেক (সিএসই) - আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এন্ড মেশিন লারনিং 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি 

বি টেক (সিএসই) - সাইবার সিকিউরিটি
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি 

বি টেক (সিএসই) - ডেটা সাইন্স
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৫ লাখ ১৬ হাজার রুপি 

বিসিএ - ব্যাচেলর অফ কম্পিউটার এপ্লিকেশনস
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

বিএসসি (অনার্স) ডেটা সায়েন্স
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি

বিএসসি (অনার্স) বায়োটেকনোলজি
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

বিএসসি (অনার্স) মাইক্রোবায়োলজি
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

বিবিএ 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

এমবিএ 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ২ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি

ব্যাচেলর অফ মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

বিএসসি (অনার্স) এগ্রিকালচার
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ১৬০ রুপি 

এমএসসি - বায়োটেকনোলজি
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ২ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

এমএসসি - মাইক্রোবায়োলজি
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ২ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

এমএসসি - এনভার্নমেন্টাল সাইন্স এন্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ২ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

এমএসসি - রিমোর্ট সেন্সিং এন্ড জিআইএস
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ২ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার রুপি 

বিবিএ - এলএলবি
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৫ বছরে মোট খরচ হবে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ রুপি 

ব্যাচেলর অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট 
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৪  লাখ ২০ হাজার রুপি 

বিএসসি ইন হসপিটালিটি এন্ড হোটেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৪  লাখ ২০ হাজার রুপি 

বিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি আর্টস
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৪  লাখ ২০ হাজার রুপি

বিএ ইন হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৪  লাখ ২০ হাজার রুপি 

এমবিএ ইন হসপিটালিটি এন্ড হোটেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ২ বছরে মোট খরচ হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার রুপি  

বিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট
স্কলারশিপ পেলে এই কোর্সে ৪ বছরে মোট খরচ হবে ৪ লাখ ২০ হাজার রুপি  

হোস্টেল সুবিধা
বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জেআইএস ইউনিভার্সিটির হোস্টেল সুবিধা রয়েছে। হোস্টেলে থাকা এবং খাওয়া বাবদ প্রতি বছর আনুমানিক খরচ হবে ৮০ হাজার রুপি। হোস্টেল খরচ প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে। হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামুলক নয়। 

ভর্তির জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে
বাংলাদেশে জেআইএস ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত প্রতিনিধি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আবেদনকারিগন এই আটিকেল ভালোভাবে পড়ে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সহ জেআইএস ইউনিভার্সিটির বৈধ প্রতিনিধির অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করে এডমিশন নিতে হবে।

ঠিকানা 
জিইই বাংলাদেশ 
২৩৮/১ আউটার সার্কুলার রোড, মারুফ মার্কেট, ৪র্থ তলা, মৌচাক মার্কেটের মোড়, মালিবাগ, ঢাকা -১২১৭, বাংলাদেশ।

ফোন কল  
মিজ ফারজানা ববি ঊষা
+88 01326239779

মি.অমিত কুমার 
+88 01721733716

ইমেইল
geebangladesh@gmail.com

ভিসার জন্য আবেদন করতে যে সব ডকুমেন্টস দরকার
জেআইএস ইউনিভার্সিটিতে স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ডকুমেন্টসগুলো দরকার হবে - 

  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের একটি ২-ইঞ্চি X ২-ইঞ্চি রঙিন ছবি (চশমা ছাড়া এবং কান যেন দেখা যায়)
  • ফাইনাল এডমিশন লেটার
  • পাসপোর্টের ফটো কপি + মুল পাসপোর্ট এবং আজ পর্যন্ত যত পাসপোর্ট আছে সবগুলোর মুল কপি
  • জন্ম সনদ / জাতীয় পরিচয়পত্র (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
  • বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে বিদ্যুৎ বিল বা যেকোনো ইউটিলিটি বিল (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
  • ফাইনান্সারের ব্যাংক সার্টিফিকেট (অরজিনাল)
  • ফাইনান্সারের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অরজিনাল)
  • সব একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
  • ভিসা ফি
  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে পিতামাতার কাছ থেকে একটি অনাপত্তি পত্র / নো অবজেকশান লেটার।

উল্লেখ্য, ভর্তি হওয়ার পরে যথাযথ স্টাডি ভিসা নিয়ে নিদ্দিষ্ঠ সময়ে উপস্থিত হয়ে ইউনিভার্সিটিতে রিপোর্ট করা প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর ব্যক্তিগত দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এই ব্যাপারে জেআইএস ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধীর কোন দায় দায়িত্ব নেই।

ডিসক্লেইমার
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত বর্ণিত তথ্য সঠিক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় যে কোনো তথ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং সংশোধনের অধিকার রাখে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যে কোনো তথ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং সংশোধন শিক্ষার্থীদের মেনে নিতে হবে। এজন্য প্রতিনিধীকে কোনোভাবেই দোষারোপ করা যাবেনা।

প্রকাশের তারিখ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং 
প্রকাশের সময়: ৩:২৯ পিএম