
কম খরচে ভারতে উচ্চ শিক্ষা
প্রকৃত শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের সুস্থ পরিবেশ, মেধা ও বুদ্ধির স্বাধীন চর্চাসহ নানাবিধ কারণে ভারতমুখি হচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। নামমাত্র খরচে পেশাদার জনশক্তি গঠনে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা পৃথিবীর অন্যতম। ভারতে পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপসহ ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিয়মিত চোখ রাখুন জিইই বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে।
জিইই বাংলাদেশ ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা, স্কলারশিপ ইত্যাদি বিষয়ে আইনগত পরামর্শ প্রদান করে আসছে।
কেন ভারতে পড়বেন
উচ্চশিক্ষায় ভারতকে বেছে নেওয়ার নেপথ্যে কারণ হতে পারে শিক্ষার গুনগত মান। এরপরই সবচেয়ে আকর্ষণীয় কারণ হচ্ছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বল্প খরচ এবং স্কলারশিপ। এখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার মার্কিন ডলার ফি নেওয়া হয়। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকার (১ ডলার সমান ১২০ বাংলাদেশি টাকা) সমান। শুধু তা–ই নয়, ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থাও আছে।
পড়ালেখার খরচ কম হলেও শিক্ষার গুনগত মানের সঙ্গে কোনো আপস করা হয়না। কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে, টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান তারই প্রমাণ বহন করে। ভারতের প্রথম সারির অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান টপ ২০০ থেকে ৮০০ র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে রয়েছে। ভারতের ডিগ্রিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিশ্বের যেকোনো চাকরির বাজারে গ্রহণযোগ্যতা আছে ভারতিয় ডিগ্রির।
আবেদনের শর্ত
আন্ডারগ্রাজুয়েশনে ভর্তির জন্য একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রমে ১২ বছর অতিবাহিত করতে হবে অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে। এখানে প্রতিটি চূড়ান্ত পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) পদ্ধতিতে প্রোগ্রাম অনুসারে ন্যূনতম গ্রেডের প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জিপিএ ৩ চাওয়া হয়ে থাকে।
পোস্টগ্রেজুয়েশন বা মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির জন্য ৩ থেকে ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে, যেখানে কোনো পরীক্ষায় ৫০ শতাংশের নিচে পাওয়া যাবে না।
কখন ভর্তির জন্য আবেদন করতে হয়
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত বছরে একবার ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। প্রতি বছর জুন অথবা জুলাই মাসে ক্লাশ শুরু হয়। সাধারণত, ৬ থেকে ৭ মাস আগে থেকে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিৎ। আপনি যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়ালেখা করতে চান, দেরিতে আবেদন করলে সেই সাবজেক্টে আসন খালি না থাকলে ভর্তির জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
ভর্তির জন্য কোন ডকুমেন্টস লাগে
আন্ডারগ্রাজুয়েশনে ভর্তির জন্য সাধারণত, এসএসসি (মাধ্যমিক), এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) অথবা এ লেভেল পরীক্ষার মার্কশিট, পাসপোর্ট, জন্ম সনদ বা জাতিয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের একটা রঙিন ছবি লাগে। এছাড়া কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আইইএলটিএস বা এসএটি (সেট) স্কোর লাগে।
পোস্টগ্রাজুয়েশন বা মাস্টাস কোর্সে ভর্তির জন্য এসএসসি (মাধ্যমিক), এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) অথবা এ লেভেল পরীক্ষার মার্কশিট, গ্রাজুয়েশন বা স্নাতক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট, পাসপোর্ট, জন্ম সনদ বা জাতিয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজের একটা রঙিন ছবি লাগে। এছাড়া কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আইইএলটিএস বা জিআরই স্কোর লাগে।
ভারতে স্টাডি ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্টস দরকার
ভারতে স্টাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এই ডকুমেন্টসগুলো দরকার হবে -
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের একটি ২-ইঞ্চি X ২-ইঞ্চি রঙিন ছবি (চশমা ছাড়া এবং কান যেন দেখা যায়)
- ফাইনাল এডমিশন লেটার
- পাসপোর্টের ফটো কপি + মুল পাসপোর্ট এবং আজ পর্যন্ত যত পাসপোর্ট আছে সবগুলোর মুল কপি
- জন্ম সনদ / জাতীয় পরিচয়পত্র (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
- বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে বিদ্যুৎ বিল বা যেকোনো ইউটিলিটি বিল (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
- ফাইনান্সারের ব্যাংক সার্টিফিকেট (অরজিনাল)
- ফাইনান্সারের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অরজিনাল)
- সব একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট (অফসেট এবং A4 ফটোকপি)
- ভিসা ফি
- আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে পিতামাতার কাছ থেকে একটি অনাপত্তি পত্র / নো অবজেকশান লেটার।
কোথায় তথ্যগত সহায়তা পাওয়া যাবে
ভারতে উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে যে কোনো তথ্যগত পরামর্শের জন্য জিইই বাংলাদেশ অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। জিইই বাংলাদেশ একটি বেসরকারী শিক্ষা বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ভারতে উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানের হেড অফিস ঢাকায় এবং কোনো শাখা অফিস নেই। যে কোনো পরামর্শের জন্য জিইই বাংলাদেশ অফিসে সব ডকুমেন্টস নিয়ে সরাসরি চলে আসতে হবে। অযথা ফোন কল দিয়ে বিরক্ত করা যাবেনা।
ঠিকানা
জিইই বাংলাদেশ
২৩৮/১ আউটার সার্কুলার রোড, মারুফ মার্কেট, ৪র্থ তলা, মৌচাক মার্কেটের মোড়, মালিবাগ, ঢাকা -১২১৭, বাংলাদেশ।
ফোন
01721733716
01712571098
ইমেইল
geebangladesh@gmail.com
জিইই বাংলাদেশ অফিস থেকে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পরামর্শ পাওয়া যাবে -
- কালিঙ্গা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি - কেআইআইটি, ভুবনেশ্বর
- এসআরএম ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি - চেন্নাই
- পন্ডিত দীনদয়াল এনার্জি ইউনিভার্সিটি - গান্ধিনগর, গুজরাট
- এমআইটি ওয়ার্ল্ড পিস ইউনিভার্সিটি - পুনে
- চন্ডিগড় ইউনিভার্সিটি - পাঞ্জাব
- রয়েল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি - আসাম
- কে এল ইউনিভার্সিটি - অন্ধ্রপ্রদেশ
- এস আর ইউনিভার্সিটি - অন্ধ্রপ্রদেশ
- এডামাস ইউনিভার্সিটি - কোলকাতা
- জেআইএস ইউনিভার্সিটি - কোলকাতা
- নেওটিয়া ইউনিভার্সিটি - কোলকাতা
- নয়দা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি - দিল্লি